By
Amaar Kobita
বেমানান স্বরবর্ণ......
আমি যখন শরীরের ধমনী গুলোর মাঝে
রক্ত ভরেছিলাম, রোদ কুড়িয়ে কুড়িয়ে তোমার
জামার পকেটে জমাচ্ছিলাম, তারপর যখন
বোধের গর্ভে জন্ম নিতে নিতে
তোমার সেই যে অপেক্ষা করেছিলাম,
তুমি এলেনা, একবার বলেও গেলেনা যে
কেন হয় তোমার দ্বিধা, কেন হয় তোমার
সন্দিহান চোখ জোড়ায় লাল রং...
রোদ গুলো না জমিয়ে তখন আলো ফেলতাম পথে;
আমি বোকার মত দাঁড়িয়েছিলাম,
জলের শামুক গুলো যেদিন শিশি ভরে এলো
ফেলতে গিয়ে পারিনি, হিংসে হল,
ওরা যে সকলেই তোমার আঙুলের আদর পেয়েছে,
আমি একা কেবল কামুকিনি, তোমার স্বপ্ন বুনেও
সুতো বাঁধি আর খুলি ।
এসো না আর, তোমার মনের জামাটা
এবার খুলে ফেল, ওটা আমার মাপের নয়;
আমি যুক্তাক্ষরের ঘরে বেমানান স্বরবর্ণ
সাজব কি করে ?
কই জানতে তো চাওনি, মুখের রং গুলো শেষ কি না?
আজ রক্ত যদি সাদা হয়ে যায়,
তুমি ভাব কেন?
তুমি তো মনের পড়ত পেরোতে পেরোতে
অভিযাত্রী সেজে সেদিন সিঁধ কাটলে,
আজও আমায় শেষ করে দিলে।
আমার রং চাওয়ার দোষ ছিল, মেনে নিতে পারতে,
আমার আকাশ ধূসর করে,
তুমি আমার জাগরণের অকারণ প্রদীপ হলে,
বারণ করেছিলাম, শোনো নি, জেদ ধরেছিলে,
অকারণ আমার নামের সাথে নেশা মেখেছিলে,
যুদ্ধ করেছো, আমাকেও শিখিয়েছ, লড়াই পথে
কিভাবে বিনা রক্তে, শরীর শুষে নিতে।
কখনো কাম হয়ে এসেছ, কখনো নিশিথে
এ পুরুষ দেহে নারী হয়ে, লাজ ঢেলে আমার আয়নায়
আমায় সলজ্জ করেছো,
ছিন্ন ভিন্ন করে আমার সত্তা তুমি লুণ্ঠনের দানে
একে একে হাত পেতে নিলে,
আর আমিও কেমন ঘোরে,
তোমায় দিয়ে যে দিলাম সবই, জানি তুমি না রাখ হিসেব,
জানি তুমি না মনে রাখ সময়, আমার যখন
ভীষণ খিদে পায়, একটা একটা করে স্মৃতি গিলে খাই,
আমার হিংস্র হতে ইচ্ছে করে আজ, যাতে ঘেন্না তোমার পাই,
ভালোবাসার নাহয় আমি নই দোসর,
তুমি তো আছ তবু কল্পনায়,
আমার ঘরের কোণে আজও তোমার পোড়ান চিঠির ছাই ওড়ে
মেঝে ভরে দৌড়ায় যত গালিগালাজ,
আজও যখন সন্ধ্যে নামে বিকেলের পরে,
আমি একটা করে রোদ মাখি আমার সিন্দুক থেকে এনে,
আমার বিবস্ত্র শরীর জুড়ে আজ আলো আর আলো,
বৃষ্টির মতো জল নামে তোমার চোখ জুড়ে,
আজ হিসেব নেই আমার চাওয়ার, তোমার পাওয়ার
আজ তো আমার অন্তহীন রোদ-স্নান--
তোমার দ্বিতীয় জন্ম কি এতই সোহাগী
-- আমায় মরণও দেবে, তারই দান...??
-- অরিজিৎ নন্দী (১৩-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১২)
তোমার সেই যে অপেক্ষা করেছিলাম,
তুমি এলেনা, একবার বলেও গেলেনা যে
কেন হয় তোমার দ্বিধা, কেন হয় তোমার
সন্দিহান চোখ জোড়ায় লাল রং...
রোদ গুলো না জমিয়ে তখন আলো ফেলতাম পথে;
আমি বোকার মত দাঁড়িয়েছিলাম,
জলের শামুক গুলো যেদিন শিশি ভরে এলো
ফেলতে গিয়ে পারিনি, হিংসে হল,
ওরা যে সকলেই তোমার আঙুলের আদর পেয়েছে,
আমি একা কেবল কামুকিনি, তোমার স্বপ্ন বুনেও
সুতো বাঁধি আর খুলি ।
এসো না আর, তোমার মনের জামাটা
এবার খুলে ফেল, ওটা আমার মাপের নয়;
আমি যুক্তাক্ষরের ঘরে বেমানান স্বরবর্ণ
সাজব কি করে ?
কই জানতে তো চাওনি, মুখের রং গুলো শেষ কি না?
আজ রক্ত যদি সাদা হয়ে যায়,
তুমি ভাব কেন?
তুমি তো মনের পড়ত পেরোতে পেরোতে
অভিযাত্রী সেজে সেদিন সিঁধ কাটলে,
আজও আমায় শেষ করে দিলে।
আমার রং চাওয়ার দোষ ছিল, মেনে নিতে পারতে,
আমার আকাশ ধূসর করে,
তুমি আমার জাগরণের অকারণ প্রদীপ হলে,
বারণ করেছিলাম, শোনো নি, জেদ ধরেছিলে,
অকারণ আমার নামের সাথে নেশা মেখেছিলে,
যুদ্ধ করেছো, আমাকেও শিখিয়েছ, লড়াই পথে
কিভাবে বিনা রক্তে, শরীর শুষে নিতে।
কখনো কাম হয়ে এসেছ, কখনো নিশিথে
এ পুরুষ দেহে নারী হয়ে, লাজ ঢেলে আমার আয়নায়
আমায় সলজ্জ করেছো,
ছিন্ন ভিন্ন করে আমার সত্তা তুমি লুণ্ঠনের দানে
একে একে হাত পেতে নিলে,
আর আমিও কেমন ঘোরে,
তোমায় দিয়ে যে দিলাম সবই, জানি তুমি না রাখ হিসেব,
জানি তুমি না মনে রাখ সময়, আমার যখন
ভীষণ খিদে পায়, একটা একটা করে স্মৃতি গিলে খাই,
আমার হিংস্র হতে ইচ্ছে করে আজ, যাতে ঘেন্না তোমার পাই,
ভালোবাসার নাহয় আমি নই দোসর,
তুমি তো আছ তবু কল্পনায়,
আমার ঘরের কোণে আজও তোমার পোড়ান চিঠির ছাই ওড়ে
মেঝে ভরে দৌড়ায় যত গালিগালাজ,
আজও যখন সন্ধ্যে নামে বিকেলের পরে,
আমি একটা করে রোদ মাখি আমার সিন্দুক থেকে এনে,
আমার বিবস্ত্র শরীর জুড়ে আজ আলো আর আলো,
বৃষ্টির মতো জল নামে তোমার চোখ জুড়ে,
আজ হিসেব নেই আমার চাওয়ার, তোমার পাওয়ার
আজ তো আমার অন্তহীন রোদ-স্নান--
তোমার দ্বিতীয় জন্ম কি এতই সোহাগী
-- আমায় মরণও দেবে, তারই দান...??
-- অরিজিৎ নন্দী (১৩-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১২)
- Get link
- X
- Other Apps
Comments